শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধা পৌরবাসীর নানা সমস্যায় ভোগান্তি বেড়েছে

গাইবান্ধা পৌরবাসীর নানা সমস্যায় ভোগান্তি বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত থাকায় জনগনের ভোগান্তি বেড়েছে। অপরদিকে সেবার মানও কমেছে। গাইবান্ধা পৌর শহরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। এতে তালিকাভুক্ত হোল্ডিং রয়েছে ১৫ হাজার ৪ শ ৬২ টি। বিশেষ করে পৌরসভার ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডে অভ্যান্তরীন সড়ক গুলো চলাচলের অনুপোযোগী। সব মিলে ৯ টি ওয়ার্ডে অধাঁপাঁকা ১২ কি.মি. এবং ৫০ কি.মি. কাচা রাস্তা রয়েছে। ১/২ টি ড্রেন চালু থাকলেও অন্য এলাকায় নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা । যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলো ময়লা আর্বজনা দিয়ে ভরাট হয়ে পড়েছে। ড্রেন গুলো পরিত্যাক্ত থাকায় পানি সরবারহ লাইন বন্ধ হয়ে পড়ায় বর্ষা এলেই বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে মেইন রোডে কোন কোন স্থানে অস্থায়ী ডাস্টবিন থাকলেও শহরের বেশি ভাগ এলাকায় কোন ডাস্টবিন না থাকায় সড়কের পার্শে^ ময়লা আবর্জনায় স্ত’প হয়ে পড়ে থাকে। এতে পৌর কর্তৃপক্ষ এ সব ময়লা আবর্জনা ট্রাক দিয়ে মাঝে মাঝে সরিয়ে ফেললেও এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় এসে দায়িত্ব নেয়ার পরেও সমস্যা সমাধানের উদ্যাগ না নিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গুলোর কাজ নয় ছয় করে কাজের মান নিম্নমানের হয়। ফলে বছর ঘুরতেই এসব উন্নয়ন কাজ বিলীন হয়ে যায় । অপরদিকে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও রাস্তার লেন গুলোতে ৪ হাজার ১ শ রোড বাতি রয়েছে । পৌরসভার নিজস্ব ল্যাম্প পোস্ট না থাকায় নেসকো ও পিডিবির বিদ্যুৎ খুটিতে পৌরসভার রোড বাতি লাগানো হয় । যে কারণে যেখানে বিদ্যুৎ খুটি রয়েছে সেখানে রোড বাতির ব্যবস্থাও রয়েছে । যেখানে বিদ্যুৎ খুটি নেই সেখানে রোড বাতির ব্যবস্থাও নেই। বর্তমানে ২০- ৩০ ভাগ এলাকায় সড়কবাতি জ¦লে। তবে জোড়াতালি দিয়ে এইবারই প্রথম পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও লেনে ল্যাম্প পোস্টে ১ হাজার ৪ শ ৩০ টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করার উদ্দ্যোগ নিয়েছে । এসব ল্যাম্প পোস্টে ডাবল সড়ক বাতি জ¦ালানোর ব্যাস্থা রাখা হয়েছে । যেসব এলাকায় নেসকো ও পিডিবির বিদ্যুৎ খুটি নেই সেখানে জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ রয়েছে । ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুকিতে রয়েছে।
৩নং ওর্য়াডের সাবেক কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান- জরুরী ভিত্তিতে মহল্লার ড্রেনসহ রাস্তাঘাটগুলো নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করে মযলা আর্বজনা গুলো সরিয়ে ফেলতে হবে । নিরাপত্তার জন্য সড়কে বাতিগুলো জরুরী প্রয়োজন। নাগরিক সেবা বাড়াতে গেলে এসব সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম হেদায়তুল ইসলাম জানান- বিদ্রুৎ কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা পৌরসভার নিকট সাড়ে ১০ কোটি টাকা বকেয়া রেখেও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবারহ করছে। এছাড়া মন্ত্রানালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে চলমান উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com